ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাবা চাইছেন ফ্রান্সের নাগরিকত্ব

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন ফ্রান্সের নাগরিকত্ব চান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বরিস জনসনের ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তার বাবা। স্ট্যানলি জনসন ইতিমধ্যে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। ফরাসি আরটিএল রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বরিস জনসনের বাবা এ কথা জানিয়েছেন। খবর ডন ও হিন্দুস্তান টাইমসের।

ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেছে। তবে স্ট্যানলি জনসন চাইছেন ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেক সদস্য রাষ্ট্র ফ্রান্সের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে চাইছেন ৮০ বছর বয়স্ক স্ট্যানলি।

 

 

সাক্ষাৎকারে বরিস জনসনের বাবা বলেন, এটি এমন নয় যে একজন ব্রিটিশ ফরাসি হয়ে যাচ্ছে। মূলত ফ্রান্সের সঙ্গে আমার নাড়ির টান রয়েছে। আমার মা ফরাসি ছিলেন। আমার নানিও ফ্রান্সের। নানির মাও ফরাসি। আমি ইইউর সঙ্গে থাকতে চাই। সে কারণেই ফ্রান্সে থাকতে চাচ্ছি।

স্ট্যানলি জনসন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন সাবেক সদস্য। ২০১৬ সালের ব্রেক্সিটবিষয়ক গণভোটে ইউতে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ব্রিটেন ইইউতে যোগ দেয়ার পর তিনি আন্তর্জাতিক এই সংস্থার ব্রাসেলসে নিয়োগ পাওয়া প্রথম কর্মী। তিনি ইউরোপীয় কমিশনেও কাজ করেছেন। আরটিএল রেডিওর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে স্ট্যানলি বলেন, আমি সবসময় ইইউর সঙ্গে থাকতে চাই। ফ্রান্সের সঙ্গে তার গভীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি দেশটির নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহী।

সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ৮০ বছর বয়সী স্ট্যানলি খাঁটি ফরাসি ভাষায় কথা বলেন।

স্ট্যানলি বলেন, আমি অবশ্যই একজন ইউরোপীয়। কেউ বলতে পারবে না, তুমি ব্রিটিশ, ইউরোপিয়ান নও। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকাটাও খুব জরুরি।

তার ছেলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ২০১৬ সালের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়েই বেশি আগ্রহী ছিলেন। তার সার্বক্ষণিক মন্তব্য ছিল একটাই। তিনি বলতেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে বেরিয়ে যেতে পারলে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে ব্রিটেন আরও উন্নত অবস্থানে যেতে পারবে।

প্রসঙ্গত, চার বছরের দীর্ঘ দরকষাকষির পর বৃহস্পতিবার রাতে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রায় ৫ দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: