অর্থনীতি শক্তিশালী করতে দেশীয় শিল্পকে গুরুত্ব দেবে সরকার

নিউজ ডেস্কঃ  আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অর্থনীতি শক্তিশালী করতে স্থানীয় শিল্পকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কোন কোন খাতে সহায়তা দিলে স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং পরনির্ভরশীলতা কমে আসবে, সে বিষয়ে কাজ করছে ।

অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক্‌–বাজেট আলোচনা সভায় আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

স্থানীয় শিল্পকে উৎপাদনে সহায়তা দিতে চাই। কোন জায়গায় সহায়তা দিলে দেশীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং ভিন্ন ভিন্ন পণ্য উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেটি দেখছি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্থানীয় শিল্পকে উৎপাদনে সহায়তা দিতে চাই। কোন জায়গায় সহায়তা দিলে দেশীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং ভিন্ন ভিন্ন পণ্য উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেটি দেখছি।’ এ সময় তিনি রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরের নেওয়া কিছু পদক্ষেপও তুলে ধরেন। বিশেষ করে করযোগ্য আয় রয়েছে, কিন্তু করের আওতার বাইরে রয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের করের আওতায় আনতে অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এনবিআর সংযুক্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী রাজস্ব আদায় বাড়ানো ও বর্তমান পরিস্থিতিতে করদাতাদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন তিনি।

শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে (পিটিএ) যেতে হবে। এ জন্য সম্ভাব্য শুল্ক ছাড়ের লক্ষ্যে এনবিআরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনবিআরকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে (পিটিএ) যেতে হবে। এ জন্য সম্ভাব্য শুল্ক ছাড়ের লক্ষ্যে এনবিআরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রাক্‌–বাজেট আলোচনায় ইআরএফ সদস্যরা বাজেট অধিবেশন বিকেলের পরিবর্তে সকালে শুরু করা, কর আদায়ে সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করা, বিনিয়োগ আকর্ষণে করসংক্রান্ত জটিলতা কমানোর প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া পাবলিক-প্রাইভেট কর কমিটি গঠন, প্রতি তিন মাস পর রাজস্ব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে পর্যালোচনা সভা করার তাগিদ দেন। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্বসংক্রান্ত কোনো ছাড় যাদের উদ্দেশে দেওয়া হয়, তারা ওই সুবিধা পাচ্ছে কি না, তা পর্যালোচনা করে পরে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া, রাজস্বসংক্রান্ত অন্যান্য সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, তা বিশ্লেষণের জন্য একটি আলাদা বিভাগ গঠন করারও প্রস্তাব দেন ইআরএফ সদস্যরা।

কালোটাকা বিনিয়োগের বিদ্যমান নীতিমালা বৈধভাবে কর দেওয়া ব্যক্তিদের নিরুৎসাহিত করছে এবং অবৈধ অর্থ আয়কে উৎসাহিত করছে বলে মনে করেন ইআরএফ সদস্যরা। তাই কেবল বৈধভাবে উপার্জিত–অপ্রদর্শিত আয়কে নির্ধারিত কর প্রদান ও জরিমানা সাপেক্ষে বৈধ করতে আইনে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেন তাঁরা। আলোচনায় ইআরএফের কার্যনির্বাহী পরিষদসহ সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: