গোয়েন্দারা ইউরোপীয় নেতাদের তথ্য পাচার করা করেছে যুক্তরাষ্ট্রে

নিউজ ডেস্কঃ অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ একাধিক ইউরোপীয় নেতার পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দারা। তথ্য পাচার করা হয়েছে আমেরিকায়। ইউরোপের একাধিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের এমন সংবাদে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা ইউরোপের একাধিক নেতার পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে এবং সেই তথ্য তুলে দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের পেছনেও তারা গুপ্তচরবৃত্তি করেছে এবং তথ্য তুলে দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ-এর হাতে।

নাইন-ইলেভেনের পর থেকে এনএসএসহ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে দেশে-বিদেশে বিতর্কের শেষ নেই। অভিযোগ উঠছে, খোদ অ্যামেরিকার আইনও তোয়াক্কা করে না এনএসএ। তাদের বিদেশি সহযোগীরাও আইন ও নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে উঠে বে-আইনি কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে বার বার শোনা যাচ্ছে। ব্যক্তি, রাজনীতিক, কোম্পানি সংক্রান্ত সব তথ্যের রাক্ষুসে ক্ষুধার যেন শেষ নেই্।

এর আগে ২০১৩ সালেই এ বিষয়টি সামনে এসেছিল। স্নোডেনও এ বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় সাংবাদিকদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় বিষয়টি আর এগোয়নি। কিন্তু সম্প্রতি এনএসএ-এর এক কর্মকর্তা বিস্তারিত তথ্য তুলে দেন একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমের হাতে। তারপরেই বিস্ফোরক তথ্য সামনে চলে আসে।

জার্মান চ্যান্সেলর ছাড়াও দেশের প্রেসিডেন্টের পেছনেও গুপ্তচরবৃত্তি করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা এফই। ২০১৩ সালে এসপিডি দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর পেছনেও গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়। ঘটনার কথা শুনে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এটা রাজনৈতিক স্ক্যান্ডাল।’ জার্মান কূটনীতি মহলেও বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে। কারণ জার্মানির সঙ্গে ডেনমার্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। ডেনমার্ক জার্মানির প্রতিবেশী দেশ। তা সত্ত্বেও কেন তারা এ কাজ করল এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তথ্য তুলে দিল, তা নিয়ে অনেকেই বিস্মিত।

বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি ম্যার্কেল। তবে চ্যান্সেলরের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি ম্যার্কেলের গোচরে আনা হয়েছে। জার্মান প্রেসিডেন্টও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। ডেনমার্কও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ২০২০ সালেই ডেনমার্কের প্রশাসনের কানে পৌঁছেছিল খবরটি। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলাও হয়েছে অনেক। সূত্র জানিয়েছে, ২০২০ সালে তৎকালীন গোয়েন্দা বিভাগের সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্তাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: