স্পোর্টস ডেস্কঃ
মাঠের ফলাফলটা ভালো হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। নিউক্যাসলের মাঠে সোমবার রাতে ১-১ ড্রয়ে বাধ্য হয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। তবে মাঠের যাচ্ছেতাই পারফর্ম্যান্সের চেয়েও বেশি এবার কাঠগড়ায় উঠেছে রোনালদোদের শরীরী ভাষা। ইউনাইটেড কিংবদন্তি গ্যারি নেভিল তো রীতিমতো বলেই বসেছেন, ম্যাচের পর রোনালদো ‘দৌড়েই পালিয়ে’ যান!
পর্তুগিজ তারকা নিজেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে, হিট ম্যাপে দেখা যাচ্ছে পুরো ম্যাচে ছাপই ফেলতে পারেননি তিনি। তবে তার চেয়েও বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছে তার দেহভাষ্য।
স্কাই স্পোর্টসের ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে নেভিল বললেন, ‘আমরা দেহভাষ্য নিয়ে কথা বলছি। চলতি মৌসুমে এর আগেও এ নিয়ে আমরা কথা বলেছি যখন রোনালদো এভারটন ম্যাচ শেষ হতেই দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সে আজ আবারও পালিয়ে গেছে। এমনকি ওয়াটফোর্ড ম্যাচেও, যখন সবাই জানতো যে কোচ বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন, আর নরউইচের মাঠেও।’
উল্লেখ্য, সেই ম্যাচগুলোর কেবল একটিতে জিতেছে ইউনাইটেড। সেটাও নরউইচের মাঠে, রোনালদোর পেনাল্টি থেকে। আর বাকি ম্যাচগুলোর একটিতেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি দলটি, ওয়াটফোর্ডের মাঠে তো হেরেছিল ৪-১ গোলেই।
গ্যারি নেভিল আরও যোগ করেন, ‘আপনি যেমনই খেলেন, খেলা শেষে ভক্তদের দিকে গিয়ে তালি দেওয়া উচিত। তাদের কাছে যাওয়া উচিত। বিশেষ করে আপনি যখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, আর ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা একজন।’
শুধু রোনালদোই তোপের মুখে পড়লেন না, স্বদেশি ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ব্রুনো ফের্নান্দেজকেও সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করলেন নেভিল। বললেন, ‘সঙ্গে ব্রুনো ফের্নান্দেজও অভিযোগ করেই যাচ্ছে। তারা দলের দুই সিনিয়র খেলোয়াড়। দলের এমন দুই খেলোয়াড় যখন অন্যদের দিকে এমনভাবে তাকান যেন তারা ভালো খেলোয়াড় নন, তখন তরুণদের কী মনে হয় এটা কল্পনা করুন!’
‘দুই মাস ধরেই বিষয়টা আমাকে বিরক্ত করেই চলেছে। আপনা দলের সেরা খেলোয়াড়রা এমন করছে, তারা যখন দলের তরুণদের সামনে এমন দেহভাষ্য দেখাচ্ছে তখন বিষয়টা খুবই জঘন্য হয়ে দাঁড়ায়।’
র্যালফ র্যাংনিক দলটির দায়িত্বে আছেন চলতি মৌসুমের বাকি অংশ পর্যন্ত। তবে এমনটা চলতে থাকলে আসছে মৌসুমগুলোয় দলটির ডাগ আউটে কোচবদলের হিড়িকও পড়ে যাবে, মত সাবেক ইউনাইটেড ফুটবলারের। বললেন, ‘সবশেষ কোচকে তারা পদচ্যুত করেছিল। র্যাংনিক চাকরি হারাবে না, থাকবেই তো কয়েক সপ্তাহ। কিন্তু সত্যি বলতে, এমন কিছু যদি তারা করতেই থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক কোচকে পদচ্যুত করতে যাচ্ছে তারা।’